চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রচুর
সময়,
ধৈর্য
আর
অমায়িক
পরিশ্রমের একটি
পরিণতিমাত্র। যদিও তা নেহাত জটিল কিছু নয়। আগে তোমাকে জেনে নিতে হবে, শর্ট ফিল্ম বলতে ৪০ মিনিট বা তার কম সময়ব্যপ্তির চলচ্চিত্রকে বোঝানো হয়। ৪০ মিনিটের ঊর্ধ্বে এবং সাধারণত দেড় ঘন্টা থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার চলচ্চিত্রকে ফিচার ফিল্ম বলা হয়।
যেকোনও
ছবি
নির্মাণকে (ফিচার
ফিল্ম-ই হোক আর
শর্ট
ফিল্ম)
প্রধানত তিনটি
স্তরে
ভাগ
করা
হয়।
প্রিপ্রোডাকশন (Preproduction), প্রোডাকশন (Production), এবং পোস্ট-প্রোডাকশন (Postproduction)। একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি আর একটি ফিচার ফিল্ম তৈরির মূল পার্থক্য
এর খরচাবলি ও কাজের পরিমাণ। শর্ট
ফিল্ম
খুবই
অল্প
ফান্ডিং-এর
মধ্যে
দিয়েও
করা
যায়
এবং
দলগঠনের মুহূর্তে বেশি
লোকের
প্রয়োজনও বিশেষ
নেই।
তাছাড়া
এটির
কাজের
এবং
টেকনিক্যাল বিষয়বস্তু ফিচার
ফিল্মের তুলনায়
অনেক
কম।
প্রথমত,
ছবি
নির্মাণ করার
আগে
নিজেকে
তিনটি
প্রশ্ন
করবে:
১. কী দেখানো হবে।
২. কীভাবে দেখানো হবে।
৩. কেন দেখানো হবে। অর্থাৎ ছবি নির্মাণের উদ্দেশ্য।
১. কী দেখানো হবে।
২. কীভাবে দেখানো হবে।
৩. কেন দেখানো হবে। অর্থাৎ ছবি নির্মাণের উদ্দেশ্য।
প্রি প্রোডাকশন (Pre Production)
যাক,
এখন
যখন
তুমি
উপরের
তিনটে
প্রশ্নের উত্তর
পেয়ে
গেছো,
সেহেতু
প্রথম
পর্ব
নিয়ে
কথা
বলি।
প্রিপ্রোডাকশন (Preproduction) বলতে কোনও
ছবির
শুটিং
শুরু
হবার
আগের
কাজসমূহকে বোঝানো
হয়
।
এর
অন্তর্গত ছবির screenplay,
story board, budgeting, teaming, shot-division, shooting location ইত্যাদি।
চিত্রনাট্য:
একজন
চলচ্চিত্রকার শুধু
ছবির
নির্মাতাই নন।
তিনি
একজন
গল্পকারও। প্রত্যেকটি ছবির
প্রিপ্রোডাকশন শুরুর
আগেও
চিত্রনাট্য স্থান
পায়-
যা
আদতে
ওই
চলচ্চিত্রের গল্প
বা
সেটির
একটি
লিখিত
রূপ।
এতে
উল্লেখ
করা
থাকে:
১. কী কী দৃশ্য থাকবে।
২. উক্ত দৃশ্যগুলো কোথায় শুট করা হবে।
৩. কী কী দৃশ্য ইনটেরিয়র-কেন্দ্রিক এবং কী কী এক্সটেরিয়রে হবে।
৪. দৃশ্যগুলো দিনের কোন সময়ে করা হবে। যেমন: সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা ইত্যাদি।
৫. কোন কোন চরিত্র আছে।
৬. চরিত্রের সংলাপ।
৭. চরিত্রদের পোশাক।
৮. বিভিন্ন props এর বর্ণনা।
১. কী কী দৃশ্য থাকবে।
২. উক্ত দৃশ্যগুলো কোথায় শুট করা হবে।
৩. কী কী দৃশ্য ইনটেরিয়র-কেন্দ্রিক এবং কী কী এক্সটেরিয়রে হবে।
৪. দৃশ্যগুলো দিনের কোন সময়ে করা হবে। যেমন: সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা ইত্যাদি।
৫. কোন কোন চরিত্র আছে।
৬. চরিত্রের সংলাপ।
৭. চরিত্রদের পোশাক।
৮. বিভিন্ন props এর বর্ণনা।
নিজের জীবনকে করে তোল সহজতর!
Story
Board:
চিত্রনাট্য শেষ
হতেই
দ্বিতীয় কাজটি
হলও story
board তৈরি।
কোনও
গল্প
বা
উপন্যাসে রূপকের
ছড়াছড়ি
দিয়ে
পরিস্থিতির তাৎপর্য বোঝানো
হলেও
চলচ্চিত্র সংলাপে
গল্প
না
বলে
বরঞ্চ
পুরো
পরিস্থিতিটিকে সামনে
দাঁড়
করানো
হয়।
এজন্য
চিত্রনাট্যের সংলাপ
কী
রূপে
পরিবেশন করা
হবে,
তারই
উদাহরণস্বরূপ চিত্র
এঁকে
এঁকে
বোঝানো
হয়
যাতে
শুটিং-এর সময়ে পরিচালক তার
ক্যামেরাম্যানকে দৃশ্যের যথার্থ
ধারণা
দিতে
পারেন।
এই story
board এর
ভেতরে
চরিত্রদের পোশাক, props, তাদের অঙ্গভঙ্গি, ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল- মোটকথা
দৃশ্যের সবকিছুর নির্দিষ্ট ধারণা
দেয়া
থাকে
চিত্রের মাধ্যমে।
বাজেটিং (Budgeting):
চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য
অর্থের
প্রয়োজন। তবে
শর্ট
ফিল্মের ক্ষেত্রে অর্থ
তেমন
কোনও
জটিলতা
নিয়ে
আসে
না।
ছাত্র-ছাত্রীদের দলীয় আর্থিক সামর্থের নাগালে
শর্ট
ফিল্ম
তৈরি
করা
যায়।
তবুও
ছবির
লাইটিং,
শব্দগ্রহণের ক্ষমতা
এবং
এর
নান্দনিক ওজন
রক্ষার্থে শক্ত
বাজেট
করা
উচিত।
এই
বাজেটের উপর
ভিত্তি
করে
পরিচালক, সহ-পরিচালক ও ডিরেকটর অব
ফোটোগ্রাফি (DoP) ছবির পরবর্তী কাজে
নিয়োজিত হন।
ছবির স্থান-কাল-পাত্র:
তোমরা
খেয়াল
করে
থাকবে
পথের
পাঁচালি ছবিতে
এর
একটি
নিজস্ব
আবহ
আছে।
অপু
ও
দূর্গার গ্রাম।
আবার
দেখবে
বিখ্যাত শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন ছবিটিতে মূল
চরিত্রকে কয়েদ
করে
রাখা
হয়েছে
এক
বিশাল
জেলখানায়। ভেবে
দেখেছ
এগুলো
কেন
এত
গুরুত্বপূর্ণ?
চলচ্চিত্র নির্মাণে ঘটনার সাথে আবহের একটি মিল ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা জরুরি। ধরা যাক, সংলাপ অনুযায়ী একটি কফিশপে দুই বন্ধু জমিয়ে আলাপ করছে। এখানে কফিশপটি কোনও বাসায় তৈরি করে চালিয়ে নিলে কফিশপের আসল আবহটি ব্যাহত হয়ে গেল। ফলে সত্যিকারের একটি কফিশপ প্রয়োজন। নইলে দৃশ্যটি দেখতে বেখাপ্পা মনে হতে পারে!
চলচ্চিত্র নির্মাণে ঘটনার সাথে আবহের একটি মিল ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা জরুরি। ধরা যাক, সংলাপ অনুযায়ী একটি কফিশপে দুই বন্ধু জমিয়ে আলাপ করছে। এখানে কফিশপটি কোনও বাসায় তৈরি করে চালিয়ে নিলে কফিশপের আসল আবহটি ব্যাহত হয়ে গেল। ফলে সত্যিকারের একটি কফিশপ প্রয়োজন। নইলে দৃশ্যটি দেখতে বেখাপ্পা মনে হতে পারে!
আবার
ধরা
যাক,
মুক্তিযুদ্ধের একটি
কাল্পনিক ঘটনা
নিয়ে
শর্ট
ফিল্ম
বানানো
হচ্ছে।
অথচ
ক্যামেরার সামনে
তোমার
অজান্তেই একবিংশ
শতাব্দির একটি
স্মার্টফোন বন্দী
হয়ে
গেল!
এতে
ছবিটি
তার
বাস্তবতা থেকে
দূরে
সরে
যাচ্ছে। একাত্তরের কোনও
গ্রামের মানুষকে দিয়ে
যদি
এমন
কোনও
শব্দ
বলানো
হয়,
যা
তৎকালীন গ্রাম্যসমাজের মানুষের পক্ষে
বলা
সম্ভব
নয়,
এতেও
ছবিটি
বাস্তবতার সংস্পর্শে নেই।
তাই
এই
খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু পরবর্তী পর্বে
যাবার
আগে
ঝালিয়ে
নেয়া
জরুরি।
স্থান
নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি
বিষয়
নোট
করা
দরকার।
লাইটিং
একটি
ছবির
সবচেয়ে
ব্যয়বহুল অংশগুলির একটি। দিনের বেলায়, এক্সটেরিয়রে শুটিং
করা
ভাল।
এতে
খরচ
সবচেয়ে
কম
হয়।
আবার
রাত্রিবেলা এক্সটেরিয়র শুটিং
খরচ
সর্বাপেক্ষা বেশি। কেননা এসময়ে প্রচুর
লাইটিং-এর প্রয়োজন হয়।
কাস্টিং (Casting):
চরিত্রের ভূমিকা
পালন
করার
জন্য
চাই
মনের
মতো
অভিনেতা বা
অভিনেত্রী যিনি
তার
ব্যক্তিগত সত্তার
বাইরে
এসে
একটি
চরিত্রকে আপন
করে
নিতে
পারেন।
এজন্য
অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করতে
হয়।
ছবির
পরিচালক তাঁর
চরিত্রগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে,
নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ও
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণে নির্মাণ করেন।
ফলে
যে
চরিত্রগুলো ফুটে
ওঠে,
সেগুলোর স্বকীয়তা খুবই
মূল্যবান। কাস্টিং এমন
হওয়া
উচিত,
যাতে
চরিত্রের চারিত্রিক দিকগুলো কলাকাররা ব্যক্তিগতভাবে অনুভব
করতে
পারেন।
মিশে
যেতে
পারেন।
নতুবা
অভিনয়
স্থূল
হবার
অনেক
বেশি
সম্ভাবনা রয়ে
যায়।
প্রত্যেকটি চরিত্রের জন্য
আলাদা
আলাদা
দিনে
কাস্টিং করা
ভাল।
কাস্টিং শেষে
পরিচালকের কাজ
এখানেই
থেমে
নেই।
তাকে
রীতিমতো বাছাইকৃত কলাকারদের সঙ্গে
যোগাযোগ করতে
হবে,
সবার
কাছে
যার
যার
চরিত্র
প্রতিনিয়ত ব্যাখ্যা করতে
হবে
এব
সেগুলোর নিজস্ব
অবজেকটিভের ধারণা
দিতে
হবে।
মনে
রাখবে,
কলাকারদেরকে যত
সময়
দেয়া
হবে
চরিত্রগুলো আত্মস্থ করার
জন্য,
ক্যামেরার সামনে
অভিনয়ের ওজনও
তত
বেশি
হবে।
শুটিং-এর সময় ও স্থানের খুঁটিনাটি:
স্থান
নির্বাচনের পর
এর
পরিবেশ
শুট
করার
যোগ্য
করে
তোলা
মানে
ছবির
অর্ধেকটা নির্মাণ করে
ফেলা।
তাই
চিত্রনাট্য অনুযায়ী যথাসম্ভব স্থান
নির্বাচন, একে
শুটিং-এর জন্য সাজানো, story
board অনুযায়ী স্থানের আলো,
শব্দের
আনাগোনা, এবং
ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ঝালাই
করে
নিতে
হবে।
এতে
শুটিং-এর দিন কোনও
ঝঞ্ঝাটের আশঙ্কা
নেই।
তাছাড়া
কবে
শুটিং-এর কাজ শুরু
করা
হবে
সেই
তারিখ
লিপিবদ্ধ করে
রাখা,
ততদিনের মধ্যে props এর বন্দোবস্ত করা
প্রি-প্রোডাকশন পর্বের সবচেয়ে সময়সাপেক্ষের কাজ।
এ
কাজগুলো ওই
ছবির
প্রোডাকশন ডিজাইনারের। তবে
দলগতভাবে কাজটি
করার
রীতিও
আছে।
এর
মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত:
১.
সকল props এর ব্যবস্থা করা।
২. লাইটিং-এর ব্যবস্থা।
৩. কসটিউম বা পোশাক অর্ডার করা।
৪. মেক-আপ এর আয়োজন।
৪. শুটিং সেটের সকল কলাকারদের জন্য খাবারের আয়োজন ও কাজের ফাঁকে বিশ্রামের সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. লাইটিং-এর ব্যবস্থা।
৩. কসটিউম বা পোশাক অর্ডার করা।
৪. মেক-আপ এর আয়োজন।
৪. শুটিং সেটের সকল কলাকারদের জন্য খাবারের আয়োজন ও কাজের ফাঁকে বিশ্রামের সুযোগ নিশ্চিত করা।
প্রোডাকশন পর্ব (Production Process)
প্রিপ্রোডাকশনের কাজ
শেষে
শুটিং
শেড্যুল অনুযায়ী শুরু
হয়
শুটিং,
বা
প্রোডাকশন পর্ব।
একই
কথা।
এতদিন
পরিচালক তার
কলাকারদের ঘরে
রিহার্স করালেও
প্রোডাকশন পর্বে
রিহার্স করতে
হয়
শুটিং
সেটে।
তবে
তোমরা
মনে
করতে
পারো
যে
এখানে
মূলত
ক্যামেরাম্যান ও
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাজই
আছে।
কিন্তু
এখানে
অভিনয়
কলাকারদের সাথে
সাথে
ক্যামেরার পেছনের
মানুষদের কাজও
অনেক। story
board অনুযায়ী ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল পুনরায়
কয়েকবার প্র্যাকটিস করে
নেয়া,
চরিত্রদের মেক-আপ, তাদের কস্টিউম, ছবির
কাহিনী
ও
পরিস্থিতি অনুযায়ী লাইটিং
অ্যাঙ্গেল, মাইক্রোফোন সেট, props গুছিয়ে রাখার মতো
বেশ
দরকারি
কাজ
রয়েছে
এই
পর্বে।
ছোট্ট পরিসরের একটি শর্ট ফিল্মের সেট
ছবির পরিচালক অনেকসময় নিজেই ক্যামেরাম্যান হয়ে থাকেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি খোদ ক্যামেরাম্যান নন। এক্ষেত্রে DoP এটির ভূমিকা পালন করেন। পুরো শুটিং পর্বে DoP বা ক্যামেরাম্যানের যোগাযোগ কেবল পরিচালক, Gaffer (যিনি লাইটিং-এর ব্যাপারটি দেখেন) এবং Boom Operator (যিনি শব্দগ্রহণের বিষয়টি দেখেন, মাইক্রোফোন কলাকারদের যথাসম্ভভ নিকটে রেখে সংলাপ রেকর্ড করেন) এর সঙ্গে। তোমরা চাইলে ক্যামেরার মাইক্রোফোন দিয়েও কাজটি করতে পারো। ক্যামেরাম্যান কেবল পর্যবেক্ষণ করেন পরিস্থিতিটি পরিচালকের মনের মতো হচ্ছে কিনা।
সংলাপ
অনুযায়ী কলাকারদের শরীরের
অঙ্গভঙ্গি খাপ
খাচ্ছে
কিনা,
তাদের
অভিনয়ের মধ্যে
গড়মিল
হচ্ছে
কিনা,
এগুলো
দেখেন
স্ক্রিপ্ট সুপারভাইজার। অতঃপর
সামগ্রিক clip-টি পরিচালককে দেখানো
হয়।
তিনিই
সিদ্ধান্ত নেন
উক্ত clip পরবর্তী পর্বে যাবে কিনা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি
শট
কয়েকবার নেয়া
হয়
যাতে
কলাকাররা শুটিং
স্থানের সঙ্গে
মানিয়ে
নিতে
পারেন।
একটি
শট
সর্বশেষে যখন
পরিচালকের কল্পনাস্বরূপ হয়,
তখনই
পরের
শটদের
জন্য
আবার
রিহার্স করা
শুরু
হয়।
মনে
রাখতে
হবে,
এক-একটি দিনে নির্দিষ্ট সংখ্যক
শট
শেষ
করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বি. দ্র. Digital SLR ক্যামেরাতে শর্ট ফিল্মের কাজ করা অন্যান্য ধরনের ক্যামেরা থেকে সহজ। তবে ইদানীং ভালো স্মার্টফোন দিয়েও সহজেই শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেকেরই ধারণা ছবি নির্মাণের সঙ্গে অনেক বেশি অর্থের এবং দামী প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে। তবে বাস্তবে ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো। জিরো-বাজেট ফিল্ম নির্মাণ করা হয় অনেকসময়- যখন কলাকার থেকে শুরু করে দলের প্রত্যেকে ভলিন্টিয়ার হিসেবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের খাতিরে কাজ করেন। আর সত্যি বলতে, একটি ছবি ভাল হবে কি হবে না তা অনেকাংশেই নির্ভর করে গল্পের মান, চিত্রনাট্যের মান এবং পরিচালকের পারদর্শিতার উপরে।
বি. দ্র. Digital SLR ক্যামেরাতে শর্ট ফিল্মের কাজ করা অন্যান্য ধরনের ক্যামেরা থেকে সহজ। তবে ইদানীং ভালো স্মার্টফোন দিয়েও সহজেই শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেকেরই ধারণা ছবি নির্মাণের সঙ্গে অনেক বেশি অর্থের এবং দামী প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে। তবে বাস্তবে ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো। জিরো-বাজেট ফিল্ম নির্মাণ করা হয় অনেকসময়- যখন কলাকার থেকে শুরু করে দলের প্রত্যেকে ভলিন্টিয়ার হিসেবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের খাতিরে কাজ করেন। আর সত্যি বলতে, একটি ছবি ভাল হবে কি হবে না তা অনেকাংশেই নির্ভর করে গল্পের মান, চিত্রনাট্যের মান এবং পরিচালকের পারদর্শিতার উপরে।
কোনো
সমস্যায় আটকে
আছো?
প্রশ্ন
করার
মত
কাউকে
খুঁজে
পাচ্ছ
না?
যেকোনো
প্রশ্নের উত্তর
পেতে
চলে
যাও ১০ মিনিট স্কুল
লাইভ
গ্রুপটিতে!
পোস্ট প্রোডাকশন (Post Production)
post– শব্দটি দ্বারা
‘পরবর্তী’ বোঝানো
হলেও
এর
কাজ
শুটিং-এর সাথে সাথেই
শুরু
হয়ে
যায়।
ছবির
শুট
করার
পর
প্রতিটি দৃশ্যের শটগুলো
দিনশেষে চলে
যায়
বিভিন্ন কাজের
জন্য।
পোস্টপ্রোডাকশনের কাজে
কোনও
শারীরিক পরিশ্রম নেই।
সবটাই
কম্পিউটারের কাজ।
দৃশ্য এডিট করা:
প্রথমত
বলে
রাখা
ভাল,
ছবিটি
ঠিক
কীরকম
হবে
দেখতে
তা
পরিচালকের কল্পনায় অনেক
আগে
থেকেই
স্থির
করা
হতে
হবে।
কেননা
সেটির
ওপর
ভিত্তি
করেই
কিন্তু
সব
কাজ
করা
হয়।
প্রোডাকশন পর্বে
যখন
শুটিং
হয়,
তখন
বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণেই
সেটি
ঠিক
পর্দায়
দেখানোর মতো
হয়
না।
শটগুলো
ভাঙতে
হয়,
এডিটরকে ঠিক
করে
নিতে
হয়।
এই
কাজটিতে করেন
পরিচালক এবং
এডিটর
মিলে।
পরিচালক অবশ্যই
ব্যক্ত
করবেন
তার
কল্পনার কথা।
তবে
এডিটরের ভূমিকা
এখানে
আরো
বেশি।
পরিচালক এডিটিং
সম্পর্কে সব
ধারণা
রাখেন
না।
তবে
যিনি
এডিট
করবেন,
তার
দখল
কেবল
এডিটিং
সফটওয়্যার, সাউন্ড
ডিজাইন,
স্পেশাল ইফেক্ট
এবং
সঙ্গীত
যুক্ত
করাই
নয়।
বরং
ছবিটি
বোঝার
ও
নিজ
থেকে
এডিট
করার
সৃজনশীলতাও থাকা
চাই
এবং
পরিচালককে বোঝার
দায়িত্বটুকুও তার।
ছবির
প্রাণ
কিছু ভাব, অনুভূতি, আলো
ইত্যাদির মধ্যে
লুকিয়ে
থাকে।
তবে
যথেষ্ট
ইফেক্টের কাজ
না
থাকায়
ছবির
বাতাবরণের সব
ভাব
অস্পষ্ট হয়ে
থাকে।
এডিটরকে এই
লুকায়িত ভাবকে
স্পষ্টরূপে ব্যঞ্জন করার
ভাষাটি
জানতে
হবে।
শুধু
তা-ই নয়, ছবির
ব্যাকরণ সম্পর্কে, অর্থাৎ
কী
কী
বিষয়বস্তুর উপস্থিতিতে একটি
চলচ্চিত্র ‘চলচ্চিত্র’ হয়ে
ওঠে,
সেটার
ধারণা
থাকা
বাঞ্ছনীয়। তার
মোদ্দা
কাজ
ছবিটি
সবদিক
থেকে
জীবন্ত
করে
তোলা।
তবে
হ্যাঁ,
সবকিছু
দৃশ্যমান হলেই
তা
ভাল
এডিটিং,
এমনটা
সত্যি
নয়। subtlety একটি অমায়িক শিল্প।
Blender সফটওয়্যার
এডিটিং
এর
জন্য Blender,
Lightworks দু’টি ভাল সফটওয়্যার।
সঙ্গীত:
দৃশ্য
ও
শব্দ-
এ
দু’টি জিনিস সমানুপাতিক। ‘সঙ্গীত’ এখানে
গান
অর্থে
বোঝানো
হচ্ছে
না।
তোমরা
খেয়াল
করে
থাকবে,
যে
প্রায়
সব
ছবিতে
একটি
ভাবের
আধিক্য
প্রকাশের খাতিরে
সেখানে
একপ্রকারের সুর,
কিংবা
বাদ্যযন্ত্রের স্বর
স্থান
পায়।
দুঃখ
বোঝাতে
অত্যন্ত বেদনাদায়ক স্বর,
আবার
দৃশ্যের বীভৎসতা, রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি বোঝাতে abstract ধুনের ব্যবহার করা
হয়।
ক্রেডিটিং (Crediting):
ছবির
কলাকার
বা
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে
শুরু
করে
পরিচালক, ক্যামেরাম্যান থেকে
শুরু
করে
সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাণের সবার
নাম
উল্লেখ
করা।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে
এবং
রেফারেনশিয়াল কারণে
ক্রেডিট দেয়া
একটি
ছবির
সর্বশেষ কাজ।
link of the full text- https://10minuteschool.com/blog/film-making/
0 comments:
Post a Comment